রসুন প্রাচীনকাল থেকেই এর বৈচিত্র্য স্বাদ ও পুষ্টিগুনাগুণের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। প্রতিদিনের খাবারে এর নিয়মিত ব্যবহার দেখলেই বোঝা যায় যে রান্নায় এর প্রাধান্যতা আমাদের কাছে কতটা বেশি।
রসুন বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজের সমৃদ্ধ উৎস, যার মধ্যে আছে ভিটামিন বি১ (থিয়ামিন), ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন), ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড), ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৯ (ফোলেট) এবং সেলেনিয়াম। এই সব উপাদান রসুনকে ক্যানসার প্রতিরোধী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করে।
রসুনের প্রধান উপাদান, অ্যালিসিন, একটি সক্রিয় যৌগ, যা ক্যানসার সহ বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। আর এই কারণেই রসুনকে এক ধরনের সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চুইঝাল সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ ঈদ পার্বণে চুইঝালের কদর অনেকগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল এবং যশোর এলাকায় চুইঝাল মসলা হিসেবে খুব জনপ্রিয়। চুইঝালে ০.৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল রয়েছে। অ্যালকালয়েড ও পিপালারটিন আছে ৫ শতাংশ। তাছাড়া রয়েছে পরিমাণমতো গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, সিজামিন ও পিপলাস্টেরল। কাণ্ড, পাতা, শিকড়, ফুল, ফল সবই ঔষধি গুণসম্পন্ন। চুইয়ের শিকড়ে রয়েছে ০.১৩ থেকে ০.১৫ শতাংশ পিপারিন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। খাবারের রুচি বাড়াতে ও ক্ষুধামন্দা দূর করতে এটি কার্যকর। পাকস্হলী ও অন্ত্রের প্রদাহ দূর করতে এবং স্নায়ুবিক উৎতেজনা ও মানসিক অস্হিরতা প্রশমনেও বেশ উপকারী। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, কফ, কাশি, ডায়রিয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও গায়ের ব্যথা দূর করতে ভালো কাজ করে। চুইঝালে প্রচুর আইসোফ্লাভোন ও অ্যালকালয়েড নামক ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে
নিয়মিত রসুন ও চুইঝাল খাওয়ার উপকারিতা
- ১. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি
- ২. ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
- ৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
- ৪. অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা রাখতে
- ৫. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- ৬. যৌন রোগ থেকে মুক্তি
- ৭. শরীরের বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ
- ৮. যক্ষ্মা প্রতিরোধ
- ৯. অন্ত্রের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ
- ১০. শ্বসন প্রক্রিয়ার উন্নতি
Reviews
There are no reviews yet.